রাতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
রাতে খেজুর খেলে কিছু উপকারিতা রয়েছে, যেমন এটি হজমে সাহায্য করে, শক্তি বাড়ায় এবং ভালো ঘুম পেতে সহায়তা করে । খেজুর শক্তি বাড়ায়, হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এছাড়াও, হৃদরোগ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও এটি সহায়তা করে । তবে, যাদের ডায়াবেটিস আছে , তাদের খেজুর খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত, কারণ খেজুরের প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে ।
পোস্ট সূচিপত্র : রাতে খেজুর খেলে যে উপকার গুলো হতে পারেঃ
১ঃ শক্তি বৃদ্ধি
২ঃ হজমে সহায়তা
৩ঃ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
৪ঃ হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি
৫ঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
৬ঃ ভালো ঘুম
৭ঃ এনিমিয়া রোগকে দূরে রাখে
৮ঃ সংক্রমনের আশঙ্কা হ্রাস
9: এলার্জি কমায়
১০ঃ হাড়ের উন্নতি ঘটে
শক্তি বৃদ্ধি
খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে যা শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে । রাতে
খেজুর খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ হতে পারে ।
হজমে সহায়তা
খেজুরে থাকা ফাইভার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে
সাহায্য করে । রাতে খেজুর খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা কমে আসে ।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য
করে ।রাতে খেজুর খেলে বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে ।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি
খেজুরে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক
। ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে
শরীরে এল ডি এল বা বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে ।ফলে হঠাৎ করে
হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা হ্রাস পায় ।সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম
আরো সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ও কমায় ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
খেজুরে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
।
ভালো ঘুম
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুরে থাকা উপাদান শরীরের মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণে
সাহায্য করে , যা ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় রাতে খেজুর খেলে ঘুম ভালো হতে পারে ।
অ্যানিমিয়া রোগকে দূরে রাখে
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে মূলত এ ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায় ।তাইতো
শরীরে যাতে এই খনিজটির ঘাটতি কোন সময় দেখা না দেয় ,সেদিকে খেয়াল রাখা
একান্ত প্রয়োজন ।আর এক্ষেত্রে খেজুর দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে ।কিভাবে ?এই
ছোট্ট ফলটি আয়রন সমৃদ্ধি ।তাইতো অ্যানিমিয়ার মত রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ
ভূমিকা নেয়।
সংক্রমনের আশঙ্কা হ্রাস
খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে , যা একাধিক রোগকে
দূরে রাখার পাশাপাশি শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এখানেই শেষ নয় ,এই
ফলটিতে বেশ কিছু অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ রয়েছে ,ফলে নিয়মিত খেজুর
খেলে সংক্রমনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে হ্রাস পায়। তাই আমাদের সকলের
খেজুরের উপকারিতা জানা দরকার।
এলার্জি কমায়
২০০২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে দাবি করা হয়েছিল খেজুরে উপস্থিত সালফার কম্পাউন্ড এলার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আমাদের সকলের খেজুরের উপকারিতা জানা দরকার।
হাড়ের উন্নতি ঘটে
খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হাড়কে এতটাই শক্তপোক্ত করে দেয় যে বয়স কালে
অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়।
বন্ধনিক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url